সাংবাদিকের নাম প্রকাশিত: ২১ নভেম্বর, ২০২৪, ০১:৩০ এএম
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল- বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪১তম মৃত্যুবার্ষিকী সোমবার (৩০ মে)। ১৯৮১ সালের এইদিনে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে সেনাবাহিনীর কিছু বিপথগামী সদস্য তাকে নির্মমভাবে হত্যা করে।
জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার ও জেড ফোর্সের অধিনায়ক ছিলেন। তিনি খালকাটা কর্মসূচি, সবুজ বিপ্লব, শিল্প উন্নয়ন এবং যুগোপযোগী ও আধুনিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা প্রবর্তনের মধ্য দিয়ে স্বনির্ভর বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় বিশেষ ভূমিকা রাখেন।
জিয়াউর রহমানের সততা, কর্তব্যনিষ্ঠা ও দেশপ্রেম ছিলো অতুলনীয়। দেশকে যখন তিনি সামনের দিকে নিয়ে চলেছেন সেই সময়ে তার বিরুদ্ধে শুরু হয় দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র। ১৯৮১ সালের ২৯ মে তিনি এক সরকারি সফরে চট্টগ্রামে যান। ৩০ মে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে গভীর রাতে একদল সেনাসদস্য তাকে হত্যা করে লাশ রাউজানের গভীর জঙ্গলে কবর দেয়। তিন দিন পর ঐ লাশ উদ্ধার করে ঢাকার শেরেবাংলা নগরে এনে দাফন করা হয়।
জিয়াউর রহমান ১৯৩৬ সালের ১৯ জানুয়ারি বগুড়ার গাবতলীতে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট—ইপিআরের বাঙালি পল্টনের মেজর ছিলেন। স্বাধীনতার পর তিনি তৎকালীণ বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক বীর উত্তম খেতাবে ভূষিত হন। এরপর তিনি সেনাবাহিনীর প্রধান হন। মোশতাক সরকারের ৮১ দিনের শাসনের পর ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর তিনি বাংলাদেশের প্রধান সেনা প্রশাসক ও রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন।