Logo
শনিবার, নভেম্বর ২৩, ২০২৪
logo

নিউইয়র্ক সিটি নির্বাচনে ইতিহাস গড়লেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ২ নারী


সাংবাদিকের নাম   প্রকাশিত:  ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ১২:৫১ পিএম

নিউইয়র্ক সিটি নির্বাচনে ইতিহাস গড়লেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ২ নারী

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক সিটি নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে ইতিহাস গড়লেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত শাহানা হানিফ ও সিভিল কোর্টের বিচারক অ্যাটর্নি সোমা সাঈদ কুইন্স। কিছুক্ষণ আগে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন ডেমোক্র্যাটিক পার্টির এই দুই নারী।

মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) নিউইয়র্ক সিটিতে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এ নির্বাচনে বিপুল ভোটে বিজয় অর্জনের মধ্য দিয়ে শাহানা হানিফ নিউইয়র্ক সিটি কাউন্সিলে প্রথম বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এবং প্রথম মুসলিম নারী কাউন্সিলওমেন নির্বাচিত হয়েছেন। তার পৈত্রিক নিবাস চট্টগ্রাম জেলার ফটিকছড়ি থানায়।

তিনি ব্রুকলিনের নির্বাচনী এলাকা ডিস্ট্রিক্ট-৩৯ থেকে ২৮ হাজার ২৫২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন, যা মোট ভোটের ৮৯.৩ শতাংশ। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কনজারভেটিভ দলের প্রার্থী ব্রেট ওয়েনকফ পেয়েছেন মাত্র ২ হাজার ৫২২ ভোট যা মোট ভোটের ৮ শতাংশ।

অন্যদিকে অ্যাটর্নি সোমা সাঈদ কুইন্স সিভিল কোর্টের বিচারক হিসেবে বিজয়ী হয়েছেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথম বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এবং দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে প্রথম মুসলিম নারী বিচারক। তার পৈত্রিক নিবাস টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলা।

এদিকে নিউইয়র্ক সিটি নির্বাচনে এই প্রথমবারের মত দুই বাংলাদেশি নারীর ঐতিহাসিক বিজয়ে নগরের বাঙালি অধ্যুষিত এলাকা কুইন্সের জ্যাকসন হাইটস, ওজোনপার্ক, জ্যামাইকা, এস্টোরিয়া, ব্রঙ্কসের পার্কচেস্টার, স্টারলিংক, ব্রুকলিনের চার্চ ম্যাকডোনাল্ডে বসবাসরত বাংলাদেশি কমিউনিটির মধ্যে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে।

দুজনেরই নিজ দলের বাইরেও কমিউনিটিতে ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা ও জনপ্রিয়তা রয়েছে। পাশাপাশি অন্যান্য কমিউনিটি এবং ধর্ম-বর্ণের মানুষের সঙ্গে রয়েছে সুসম্পর্ক। তাই বাংলাদেশিসহ অন্যান্য দেশের মানুষের ভোটও পেয়েছেন বলে কমিউনিটির সাধারণ মানুষদের বক্তব্যে উঠে এসেছে।

এ নির্বাচনে একাধিক বাংলাদেশি প্রার্থী অংশ নিয়েছেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন ডিস্ট্রিক্ট-২৪ থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী মুজিব রহমান এবং ডিস্ট্রিক্ট-২৫ থেকে রিপাবলিকান প্রার্থী শাহ শহীদুল হক। এর আগে এই দুই বাংলাদেশ নারী এ বছর ২২ জুন অনুষ্ঠিতব্য প্রাইমারি নির্বাচনে নিজ দল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি থেকে বিজয়ী হয়ে সাধারণ নির্বাচনে প্রার্থী হন।